জগতে বিভিন্ন ধরনের মানুষ জন্মগ্রহণ করেন। কেউ নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কেউবা অপরের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেন। এঁরা হন নির্মোহ। পরের কল্যাণ, জগতের কল্যাণই এঁদের একমাত্র লক্ষ্য। আজীবন এঁরা মানুষ তথা জগতের উপকার করে যান। এঁরাই হলেন মহাপুরুষ ও মহীয়সী নারী। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে আমরা এমনি কয়েকজন মহাপুরুষ ও মহীয়সী নারীর জীবনী পড়েছি। এই শ্রেণিতে আমরা স্বামী প্রণবানন্দ ও ভগিনী নিবেদিতার জীবনী পড়ব।
মাদারীপুর জেলার বাজিতপুর গ্রামে ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৯শে জানুয়ারি স্বামী প্রণবানন্দ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বিষ্ণুচরণ ভূঁইয়া, মাতা সারদা দেবী। তাঁদের চার পুত্র ও দুই কন্যা ছিল। প্রণবানন্দ তাঁদের তৃতীয় সন্তান। তাঁর প্রকৃত নাম বিনোদ। বিনোদের পিতা বিষ্ণুচরণ রাজা সূর্যকান্ত রায়ের অধীনে বাজিতপুর জমিদারির নায়েবের পদে চাকরি করতেন।
বিনোদ ছোটবেলা থেকেই ছিলেন শিবের ভক্ত। তখন থেকেই তিনি ওঙ্কার সাধনার অভ্যাস করেন ।
বিনোদ বাজিতপুর গ্রামের উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতেন। তখন ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয়েছে। বিনোদের উপর তার প্রভাব পড়ে। তিনি পড়াশুনায় মন দিতে পারেন না। তারপরও ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন।
তখন গ্রামে-গঞ্জে হরি সংকীর্তনের প্রচলন ছিল খুব বেশি। বিনোদ কীর্তন খুব পছন্দ করতেন। তাই তিনি বন্ধুদের নিয়ে একটি কীর্তন দল গঠন করেন।
বিনোদ নিজে ছিলেন খুব সংযমী ও পরিশ্রমী। তাই বন্ধুদেরও তিনি সংযম ও ব্রহ্মচর্য পালনের আহ্বান জানান। বিনোদ তাদের নিয়ে আশ্রম গড়ে তোলেন। বাজিতপুরে এই আশ্রম খুব পরিচিত হয়ে ওঠে। আর বিনোদের পরিচয় হয় তপস্বী ব্রহ্মচারী হিসেবে।
তখন স্বদেশী আন্দোলন খুব জোরদার হয়ে উঠেছে। মাদারীপুর ছিল বিপ্লবীদের একটি বিখ্যাত কেন্দ্র। বিপ্লবী পূর্ণদাস ছিলেন এ অঞ্চলের নেতা। তিনি বিনোদের সংগঠনশক্তির কথা শুনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। বিনোদও এগিয়ে আসেন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সংঘবদ্ধ করার জন্য। ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম প্রভৃতি জেলা থেকে বিপ্লবী মন্ত্রে দীক্ষিত ছেলেরা আসতে থাকে বিনোদের আশ্রমে। ক্রমে ব্যাপারটি চারদিকে প্রচারিত হয়ে যায়। তাই ব্রিটিশ পুলিশ একদিন বিনোদকে গ্রেফতার করে। পরে অবশ্য কোনো প্রমাণ না পেয়ে ছেড়ে দেয়।
এর কিছুদিন পরে বিনোদের পিতার মৃত্যু ঘটে। মায়ের আদেশে তিনি যান গয়াধামে পিণ্ড দিতে। কিন্তু সেখানে তীর্থযাত্রীদের উপর পাণ্ডাদের অত্যাচার দেখে তিনি ক্ষুব্ধ হন। তিনি সংকল্প করেন হিন্দুদের তীর্থসমূহ সংস্কার করা হবে তাঁর প্রথম ও প্রধান কাজ। এর জন্য সংঘশক্তি প্রয়োজন ।
গ্রামে ফিরে বিনোদ মাদারীপুর, বাজিতপুর, খুলনা প্রভৃতি স্থানে সেবাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। এসবের মাধ্যমে গরিব-দুঃখী, আর্ত-পীড়িতদের সেবা দিতে থাকেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী, দুর্ভিক্ষ প্রভৃতি দুঃসময়ে তিনি সেবাশ্রমের কর্মীদের নিয়ে মানুষের সেবা করে চলেন। ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে সুন্দরবন অঞ্চলে প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। বিনোদ পাঁচশত কর্মী নিয়ে দুর্ভিক্ষপীড়িতদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন। তাঁর এ কাজে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় খুবই খুশি হন এবং তাঁর উচ্চ প্রশংসা করেন।
১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে প্রয়াগে অর্ধকুম্ভ মেলা বসে। বিনোদ সেখানে যান। তাঁর সঙ্গে দেখা হয় স্বামী গোবিন্দানন্দ গিরি মহারাজের। বিনোদ তাঁর নিকট সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা নেন। তখন তাঁর নতুন নাম হয় স্বামী প্রণবানন্দ। এ সময় তিনি গৈরিক বেশ ধারণ করেন।
এবার স্বামী প্রণবানন্দ দৃষ্টি দিলেন তীর্থভূমির দিকে। তীর্থসমূহের পবিত্রতা ফিরিয়ে আনতে হবে। তীর্থযাত্রীরা যাতে তীর্থে গিয়ে স্বচ্ছন্দে পুণ্যকর্ম করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে। গয়ায় পাণ্ডাদের অত্যাচারের কথা তিনি আগেই জানতেন। তাই সেখানেই তিনি আগে গেলেন। প্রতিষ্ঠা করলেন সেবাশ্রম। এই সেবাশ্রমই পরবর্তীকালে ‘ভারত সেবাশ্রম’ নামে সারা ভারতে খ্যাতি লাভ করে।
প্রণবানন্দের এ কাজে অনেক বাধা এসেছিল। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে তিনি এগিয়ে চলেন। পর্যায়ক্রমে তিনি কাশী, প্রয়াগ, বৃন্দাবন, কুরুক্ষেত্র প্রভৃতি স্থানে ভারত সেবাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার সেবা প্রদান করতে থাকেন। তীর্থযাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে তাঁদের ক্রিয়া-কর্ম করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করেন। এর ফলে তীর্থস্থানসমূহের চেহারা পাল্টে যায় ৷
স্বামী প্রণবানন্দ অস্পৃশ্যতাকে ঘৃণা করতেন। তিনি শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক ভাব জাগিয়ে তোলার কথা বলতেন। সকলের মধ্যে সহযোগিতার ভাব গড়ে তোলার কথা বলতেন। এজন্য মিলন-মন্দির প্রতিষ্ঠার কথা বলতেন। তিনি তাঁর অনুসারীদের বলতেন : তোমরা সনাতন আদর্শে সংগঠিত হয়ে আর্য ঋষিদের আসনে উপবেশনপূর্বক এই অধঃপতিত দেশকে নীতি ও ধর্মের পথে চালিত করবে। আহারে, বিহারে ও আলাপে সংযম অভ্যাস করবে। দুর্বল ব্যক্তি আত্মজ্ঞান ও ভগবদ্ভক্তি লাভ করতে পারে না। সংঘ, সংঘশক্তি ও সংঘনেতা এই তিনে মিলে হয় এক ।
স্বামী প্রণবানন্দ ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে বাজিতপুর আশ্রমে এক হিন্দু মহাসম্মেলনের আয়োজন করেন। তাতে লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগম ঘটে। তারা স্বামীজীর বাণী শুনে নবজীবনের সন্ধান পায়। লক্ষ লক্ষ অনুন্নত শ্রেণির মানুষ তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে মানসিক হীনম্মন্যতা থেকে মুক্তি লাভ করে।
মহাপুরুষ স্বামী প্রণবানন্দ মাত্র ৪৪ বছর ১১ মাস ৯ দিন বেঁচে ছিলেন। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই জানুয়ারি কলকাতার বালিগঞ্জের ভারত সেবাশ্রম সংঘের বাড়িতে তিনি দেহত্যাগ করেন।
ভগিনী নিবেদিতা ১৮৬৭ খ্রিষ্টাব্দে ইউরোপের আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোবল। তাঁর পিতা স্যামুয়েল ছিলেন একজন ধর্মপ্রচারক আদর্শবাদী মানুষ । তার মাতা মেরী ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণা নারী। পিতা-মাতার এসব গুণ মার্গারেটের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়েছিল। তাই বাল্যকাল থেকেই তাঁর মধ্যে আদর্শ, নিষ্ঠা ও ধর্মপ্রবণতা লক্ষ করা যায় ।
মার্গারেট শৈশবে পিতৃহীন হন। তাঁর পিতা মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মারা যান। মার্গারেটের আরও এক বোন ও এক ভাই ছিলেন। মা মেরী তাঁদের সবাইকে নিয়ে পিতা হ্যামিলটনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানেই মার্গারেটের পড়াশোনা শুরু হয় ৷
মার্গারেট খুব প্রতিভার অধিকারিণী ছিলেন। স্কুল-কলেজের পরীক্ষায় তিনি কৃতিত্বের পরিচয় দেন। কলেজের পরীক্ষা শেষ করে তিনি একটি স্কুলে শিক্ষকতার কাজ নেন। অবসর সময়ে একটি চার্চের কর্মী হিসেবে জনসেবা করতেন। এর মধ্য দিয়ে অল্প বয়সেই তাঁর মধ্যে সেবার মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়।
কিন্তু একটি বিষয়ে চার্চের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মার্গারেটের মতবিরোধ দেখা দেয়। চার্চের নিয়ম ছিল যারা চার্চে এসে উপাসনা করবে, কেবল তারাই চার্চের সাহায্য পাবে। মার্গারেট এটা মানতে পারেননি। তাঁর মতে দুঃস্থ, নিপীড়িত সবাই চার্চের সুযোগ সুবিধা পাবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা মানেননি। তাই মার্গারেট মনে মনে খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। তিনি এই সংকীর্ণতা থেকে উদ্ধারের একটা পথ খুঁজছিলেন। এমন সময় তাঁর সাক্ষাৎ হয় স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে ৷
১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে আমেরিকার শিকাগো ধর্ম সম্মেলনে বক্তৃতা দিয়ে বিবেকানন্দ তখন বিশ্বখ্যাত। বিভিন্ন জায়গায় তিনি বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছেন। ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি লন্ডন আসেন। সেখানকার দার্শনিক ও ধর্মানুরাগীরা হিন্দুধর্ম ও দর্শন সম্পর্কে বক্তৃতা শোনার জন্য তাঁর নিকট ছুটে আসেন। একদিন মার্গারেটও এলেন। তিনি স্বামীজীর বক্তৃতা শুনে মুগ্ধ হন। বেদান্তের ধর্মমত তাঁকে শান্তি দেয়। তিনি স্বামীজীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।
শুরু হয় মার্গারেটের নতুন জীবন। ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ইংল্যান্ড থেকে ভারতে চলে আসেন। স্বামীজী তখন ধর্মে-কর্মে ভারতকে নতুন চেতনা দানের মহান ব্রত গ্রহণ করেছেন ৷ মার্গারেট মনেপ্রাণে গুরুর কাজে সাহায্য করতে লাগলেন। কাজের প্রতি তাঁর আত্মনিবেদন দেখে স্বামীজী তাঁর নাম দেন ‘নিবেদিতা’। স্বামীজীর শিষ্যরা তাঁকে বলতেন ‘ভগিনী নিবেদিতা'। সেই থেকে মার্গারেট ‘ভগিনী নিবেদিতা' নামেই খ্যাত হন।
একজন বিদেশিনী হয়েও নিবেদিতা ভারতবাসীদের একান্ত আপন করে নিয়েছিলেন। ভারতবাসীদের সেবায় তিনি তাঁর সমস্ত ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছিলেন। গুরুর নির্দেশে তিনি কলকাতার বাগবাজারে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। তাঁর শিক্ষা-পদ্ধতি ছিল চিত্তাকর্ষক। তিনি গল্পের ছলে ছাত্রীদের শিক্ষা দিতেন। রামায়ণ-মহাভারত থেকে সীতা, সাবিত্রী, গান্ধারী প্রভৃতি মহীয়সী নারীদের জীবনী খুব যত্নসহকারে তাদের শেখাতেন। এছাড়া নানাভাবে তিনি এদেশের গরিব-দুঃখীদের সেবা করতেন।
ভারতকে ভগিনী নিবেদিতা ‘ধাত্রী দেবতা’ রূপে গ্রহণ করেছিলেন। তাই পরাধীন ভারতের দুঃখ, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, কুসংস্কার দেখে তাঁর প্রাণ কেঁদে ওঠে। তিনি ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের কথা ভাবতে থাকেন। তখন ভারতের মুক্তির জন্য যাঁরা সংগ্রাম করতেন, তিনি তাঁদের উৎসাহ দিতেন এবং সাহায্য করতেন। ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে বারাণসীতে অনুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসে তিনি বিলেতি দ্রব্য বর্জনের জোরালো আহ্বান জানান। ভারত ও তার জনগণের জন্য তাঁর এই মমতা দেখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর নাম দিয়েছিলেন ‘লোকমাতা।’
ব্যক্তিজীবনে নিবেদিতা ছিলেন ভারতীয় নারী-জীবনের প্রতীক। তিনি নিষ্ঠাবতী ব্রহ্মচারিণীরূপে জীবনযাপন করতেন। তাঁর লেখা ‘কালী, দ্য মাদার’, ‘দ্য মাস্টার অ্যাজ আই স হিম' প্রভৃতি গ্রন্থে ভারতের প্রতি তাঁর অনুরাগ ও গুরুর প্রতি শ্রদ্ধার পরিচয় পাওয়া যায়।
নিচের ছকটি পূরণ করি :
১। মার্গারেট এলিজাবেথের নাম হয় | |
২। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মার্গারেটের নাম দিয়েছিলেন |
নিবেদিতা দেশের কাজ ও গ্রন্থ রচনায় কঠোর পরিশ্রম করতেন। ফলে তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য তিনি দার্জিলিং যান। সেখানেই ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে এই মহীয়সী নারীর জীবনাবসান ঘটে। তাঁর স্মৃতিস্তম্ভে লেখা আছে :
এখানে ভগিনী নিবেদিতা শান্তিতে নিদ্রিতা
যিনি ভারতবর্ষকে সর্বস্ব অর্পণ করেছেন।
ভগিনী নিবেদিতার জীবনী থেকে আমরা এই নৈতিক শিক্ষা পাই যে, যাঁরা মহীয়সী নারী তাঁরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ সবকিছুর ঊর্ধ্বে। মানব সেবার জন্য তাঁদের জন্ম। তাই তাঁরা শুধু দেশের গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ থাকেন না। গোটা বিশ্বই তাঁদের দেশ। সকল মানুষই তাঁদের আপন। মানব সেবাই হচ্ছে তাঁদের মূল লক্ষ্য।
আমরা এই শিক্ষা সর্বদা মনে রাখব এবং আমাদের জীবনে অনুসরণ করার চেষ্টা করব।
১। যাঁরা আজীবন জগতের উপকার করে যান, তাঁরাই হলেন ___ ও মহীয়সী নারী ।
২। মাদারীপুর ছিল ___ একটি বিখ্যাত কেন্দ্র ।
৩। স্বামী প্রণবানন্দ প্রতিষ্ঠিত আশ্রমের নাম ___।
৪। মার্গারেটকে শান্তি দেয় ___ ধর্মমত।
৫। রবীন্দ্রনাথ মার্গারেটের নাম দিয়েছিলেন ___।
১। মহাপুরুষ ও মহীয়সী নারীদের ২। বিনোদ ছিলেন খুবই ৩। স্বামী প্রণবানন্দ ৪। মার্গারেটের পিতা স্যামুয়েল ছিলেন ৫। ভগিনী নিবেদিতা দার্জিলিং যান | সংযমী ও পরিশ্রমী। একমাত্র লক্ষ্য জগতের কল্যাণ। একজন ধর্মপ্রচারক। অস্পৃশ্যতাকে ঘৃণা করতেন। জীবনী সুন্দর। সাহসী ও শক্তিমান। স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য । |
১। বিনোদের পিতা বিষ্ণুচরণ ভূঁইয়া কী করতেন ?
২। বিনোদ কেমন ছিলেন? তিনি বন্ধুদের নিয়ে কী করেছিলেন ?
৩। বিনোদের নাম ‘স্বামী প্রণবানন্দ’ হয় কখন এবং কীভাবে?
৪। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বিনোদের প্রশংসা করেছিলেন কেন?
৫। চার্চের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মার্গারেটের বিরোধ বাধে কেন?
১। বিনোদকে কেন ব্রিটিশ পুলিশ গ্রেফতার করেছিল ?
২। তীর্থস্থানে পাণ্ডাদের অত্যাচার বন্ধে বিনোদ কী করেছিলেন ?
৩। বিবেকানন্দের সঙ্গে মার্গারেটের সাক্ষাৎ হয় কখন এবং কীভাবে?
৪। নারীশিক্ষার জন্য নিবেদিতা কী করেছিলেন ?
৫। ভারতের স্বাধীনতার জন্য নিবেদিতা কী করেছিলেন?
Read more